UD AMS অ্যাপের চমক নয়, শিক্ষার মান উন্নয়নের দাবি BPTA-র

শিক্ষা-স্বার্থ বিরোধী চটকদার ‘অ্যাপ’ নির্দেশ প্রত্যাহার এবং পাশফেল প্রথা পুনঃপ্রবর্তন, শ্রেণি ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষাকর্মী নিয়োগ, সিলেবাস পরিবর্তন, পরিকাঠামো আধুনিক মানে উন্নীত করবার মতো একাধিক দাবি জানিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডিআই-এর নিকট স্মারকলিপি জমা দিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি দুলাল রাজবংশী, জেলা সম্পাদক সুজন কৃষ্ণ পাল সহ আটজনের একটি প্রতিনিধি দল উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তাদের একাধিক দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।

তারা দাবি করেন,
১) কোন অজুহাতেই শিক্ষকদের ডিভাইসে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু করা চলবে না।
২) কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কর্মীদের/ শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় করতে হবে।
৩) শিক্ষার মান উন্নয়নে অবিলম্বে ১ম শ্রেণি থেকেই পাশ ফেল চালু করতে হবে।
৪) শিক্ষকদের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার/তিরস্কার এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কলারশিপ বা মেধাবৃত্তি প্রদান করতে হবে।
৬) কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী ৩০:১ নয়, শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক সহ সমস্ত শূন্য পদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামো আধুনিক মানে উন্নীত করতে হবে।
৭) পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে যুক্ত করা চলবে না।
৮) মিড-ডে মিলে মাথাপিছু বরাদ্দ ২০/- টাকা করতে হবে।
৯) অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে ডি এ প্রদান করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন ক্রম প্রদান করতে হবে।
১০) সারপ্লাস – ডেফিসিট তত্ত্ব নয়, সিনিয়রিটির ভিত্তিতে সাধারণ বদলি চালু করতে হবে।
১২) কুসংস্কার মুক্ত, বিজ্ঞানভিত্তিক, মনোগ্রাহী সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
১৩) অনলাইনে নিজস্ব পে স্লিপ বের করার পদ্ধতি চালু করতে হবে।
১৪) অতি দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। পূর্বের ন্যায় প্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদান করতে হবে।
১৫) অবসরের পর দ্রুত পেনশন প্রদান এবং অবসরপ্রাপ্তদের বাড়িভাড়া ভাতা চালু করতে হবে।

বিপিটিএ-র পক্ষ থেকে সুজন কৃষ্ণ পাল বলেন, ডিআই তাদের উল্লিখিত দাবিগুলির যথার্থতা মেনে নিয়েছেন এবং বিষয়গুলি প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। অনলাইনে পে স্লিপ ডাউনলোডের ব্যাপারে দ্রুত সমাধান এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের দ্রুত নিস্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *